৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক যুক্ত বিবৃতিতে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘অপশক্তির অবৈধ সরকার কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্টসহ জাতীয় আট দিবস বাতিলের সিদ্ধান্ত দেখে দেশের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষের মতো আমরা প্রবাসীরাও অবাক হয়েছি।’

তারা বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের দোসররা মানুষ হত্যা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে ৫ আগস্ট নির্বাচিত সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে। রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তারা পাকিস্তানিদের মাস্টারপ্ল্যান মতো সর্ব প্রথম বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার ঐতিহাসিক ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। ঢাকাসহ সারা দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও ম্যুরাল এবং মুক্তি সংগ্রামের স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলে। 

বিবৃতিতে তারা বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশে শাখা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা, সন্ত্রাস চলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে শতশত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, বাঙালির মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এই অর্জনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পরিবারের সদস্যরা। তাদের অবদান মুছে ফেলা যাবে না। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিবস ও ১৭ মার্চের শিশু দিবস ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। ১৫ আগস্ট বাঙালির সবচেয়ে বড় শোক দিবস। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এইসব দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম।

‘রিসেট বাটন চেপে ইতিহাস মুছার নজির বিশ্বে নাই। কাজেই বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও বাঙালির জাতীয় ইতিহাস মুছে ফেলা অসম্ভব,’ বলে উল্লেখ করেন নেতারা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top