পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর চার লেন সংযোগ সড়কের কাজে ধীরগতি, ভোগান্তি চরমে

ঢাকা থেকে শরীয়তপুর যাতায়াতের পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর চার লেন সংযোগ সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে।

চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫০ শতাংশ। সড়ক খুঁড়ে ফেলে রাখায় ভোগান্তিতে পড়ছেন এ পথে চলাচলকারীরা।

লাগছে বাড়তি সময়, বেড়েছে জ্বালানি খরচ, নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ।

আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিলেট, ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকবল তেমন নেই। নামমাত্র কয়েকজন শ্রমিক আর যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে ২৭ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের কাজ। বর্তমানে পুরো সড়ক ভাঙাচুরা আর খানাখন্দে ভরা। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। চলাচলে ভোগান্তি আর যানজট তো নিত্যই ঘটছে। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি বাড়ে আরও কয়েক গুণ।

রুবিনা বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু থেকে আমাদের জেলা সবচেয়ে কাছে। কিন্তু দুর্ভোগটা আমাদেরই সবচেয়ে বেশি। দুই ঘণ্টার জায়গায় চার ঘণ্টা লাগে। অসুস্থ যাত্রীদের বেশি সমস্যা হয়।’

পরিবহন ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিনিয়ত পাল্টাতে হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবহন খাত। মালামাল পরিবহনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে কর্মজীবী মানুষ

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ আহমেদের কর্মকর্তা (সিএনএফও) মুহাম্মদ বকুল বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ এবং বালু সরবরাহের জটিলতার কারণে আমরা সময়মতো কাজ শেষ করতে পারছি না। তবে এখন বাকি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে।’

সড়ক নির্মাণ কাজে অধিগ্রহণ আর জমি জটিলতায় কাজের অনেক ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে শরীয়তপুর সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, ‘মোট কাজের প্রায় ৫৫ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় নেওয়া আছে। আমরা আশা করছি তার আগে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।’

আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে ঢাকাবাসী

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top